লগইন

+৮৮০১৭১১-২৫২৫২৫

তথ্যপ্রযুক্তি

 
দুনিয়াজুড়ে স্বল্পসময়ে তথ্যপ্রযুক্তিগত যোগাযোগব্যবস্থার সুবিধা বিশ্বকে আমাদের কাছে তুলে ধরেছে। তথ্যপ্রযুক্তিগত যোগাযোগব্যবস্থা বলতে মূলত উন্নত বিশ্ব এবং প্রযুক্তিতে অগ্রসর কিছু উন্নয়নশীল দেশকে বোঝায়। এসব দেশ ছাড়াও অনেক অনুন্নত দেশ রয়েছে যাদের কাছে এখনো প্রযুক্তির সুবিধা পর্যাপ্তভাবে পঁেৌছায়নি।উন্নত ও প্রযুক্তিবাদী দেশগুলোর মুনাফা অর্জনের অন্যতম উপায় তথ্যপ্রযুক্তিগুলো খুব দ্রুত অনুন্নত দেশগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া। অনেক উন্নয়নশীল দেশ রয়েছে যাদের অনেক নাগরিক ও অনেক অঞ্চল তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তা সত্ত্বেও তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুনিয়াজুড়ে এক অভাবনীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বর্তমান শতাব্দীতে প্রযুক্তিনির্ভর যোগাযোগের যে গণজোয়ার চলছে, এই জোয়ারের স্রোতে সারা পৃথিবীর প্রতিটি প্রানে্তর প্রত্যেক মানুষই অন্তভর্ুক্ত হতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তিগত যোগাযোগব্যবস্থার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ খুব সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেনি। তবে আয়তনে ছোট দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে যে অবস্থান সৃষ্টি করে নিয়েছে, তা অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট এই দেশটি মাত্র ১৯৯৬ সালে যোগাযোগপ্রযুক্তির মহাসড়ক ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বিগত দুই দশকে অনেক উন্নতি করেছে। যোগাযোগপ্রযুক্তির সবচেয়ে উন্নত মাধ্যম সাবমেরিন কেবল নেটওয়ার্কের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে ২০০৪ সালে। যদিও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো শক্তিশালী নয়, তার পরও বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে গণ্য করতে বাধ্য করছে। বিগত এক দশকে বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নতির দিক হলো মোবাইল কমিউনিকেশন। এই খাতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত অগ্রসরমাণ দেশ। এ দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা এবং ৯৫ শতাংশ এলাকা বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে মুদ্রণ ও সম্প্রচার মাধ্যমের পাশাপাশি অনলাইন মিডিয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) ২০১২ সালের প্রতিবেদন অনুসারে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ইন্টারনেটের আওতায় আছে ২০ শতাংশের বেশি পরিবার। তবে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সহজলভ্য ও দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যমে হচ্ছে ইন্টারনেট। এই খাতে বাংলাদেশের অবস্থান ততটা দৃঢ় না হলেও এই খাতে খুব শিগগির বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর এ ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষিত ও প্রযুক্তিনির্ভর তরুণ ও যুবশক্তি।

সরকারের ঘোষিত ভিশন ২০২১ অর্জনের উদ্দেশ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে কোটচাঁদপুর কামিল মাদরাসা। এক্ষেত্রে মাদরাসাটি কোন অংশে পিছিয়ে নেই। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মাদরাসার সকল তথ্য ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক কাছে দ্রুত পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভর্তি কার্যক্রম থেকে শুরু করে ফলাফল প্রস্তুত করাসহ সকল কাজ অনলাইন সফটওয়ারের মাধ্যমে সম্পন্ন করার পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে।